কবুতর পালনে সাবলম্বী বেকার তরুণরা

একসময় শখের বশে মানুষ কবুতর পালন করত। এখন দিন বদলেছে। তাই তো কবুতর পালন করে সাবলম্বী হয়েছে অনেক বেকার তরুণ। কিন্তু যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা ও জেলায় নির্দিষ্ট বাজার সৃষ্টি না হওয়ায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারিরা। তবে কবুতরের বাজার তৈরিসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার থানাপাড়ার মফিজুর রহমান। শখের বশে কয়েকটি দেশি কবুতর পালনের মধ্য দিয়ে শুরু। একদিন নাটোরের হাটে গিয়ে দেখেন রং-বেরঙের কবুতর। সেখান থেকে ৩০ হাজার টাকার বিদেশি কবুতর কিনে এনে নিজের খামারে পালতে শুরু করেন। মাত্র চার বছরে ১০ লাখ টাকার কবুতর বিক্রি করেছেন। এখনো খামারে আছে প্রায় ৩ লাখ টাকার কবুতর।

শুধু মফিজই নন, তার মতো জেলার অনেক যুবক কবুতর পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এখন জেলায় কবুতরের খামার সংখ্যা শতাধিক। বোখারা, মাল্টেস, ইংলিশ ট্রাম্পপিডার, নিউট্রিশিয়ানসহ বিদেশি জাতের কবুতর পালন করছেন তারা। ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা জোড়া মূল্যের কবুতর রয়েছে তাদের খামারে। এতে লাভবানও হচ্ছেন তারা।

মেহেরপুরের খামারি আজমত আলী ও শাহাজামাল জানান, কবুতর পালনের উপর কোনো প্রশিক্ষণ না থাকা ও জেলায় নির্দিষ্ট বাজার সৃষ্টি না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হয় তাদের। রোগ-ব্যাধি দেখা দিলেও বিপাকে পড়তে হয়। কবুতর বিক্রি করতে যেতে হয় নাটোর, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায়। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন তারা।

মেহেরপুরের ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কবুতর পালন করে দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার তরুণরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। সে জন্য প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *