আসুন কবুতর পালি-মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি

বিশ্ব কবুতর দিবস-১৩ই জুন ২০১৮
আসুুন কবুুুতর পালি-মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি।
বিশ্ব কবুতর দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধের বার্তা আদান প্রদান করার একমাত্র দ্রুততম মাধ্যম ছিল কবুতর। তাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কবুতর গুলো প্রচন্ড সাহসিকতার সাথে সফলভাবে মিশনগুলো সম্পন্ন করতো। বিশ্বযুদ্ধসমূহে The Mocker, Cher Ami, GI Joe, Kaiser, William Of Orange ইত্যাদি নামের কবুতরগুলো চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। The Mocker নামের একটি হোমার কবুতর যুদ্ধে ৫২ টি মিশন সম্পন্ন করেছিল, এমনকি যুদ্ধে আহতও হয়েছিল। যুদ্ধ শেযে The Mocker ও তার সাথের ২৭টি কবুতরকে ‘ Commando ‘ উপাধি এবং সাহসিকতার জন্য ‘ ডিকেন ‘ মেডেল দেওয়া হয়েছিল।
যুদ্ধের সময় প্রায় ২০০ জন মার্কিন আর্মেনীয় সেনা ভুল করে দুর্গম বরফের মধ্যে দিয়ে শত্রুপক্ষ হিটলারের সেনা ক্যাম্পের কাছে চলে গিয়েছিল। ঠিক সেই সময় “Cher Ami” “চের এ্যামি”,নামের একটি ক্যারিয়ার কবুতর হিটলারের সেনাবাহিনী কর্তৃক গুলিতে বিচ্ছিন্ন পা নিয়ে আহত অবস্থায় হিটলারের সৈন্যবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত মার্কিন আর্মেনীয়দের সেনাদের বাঁচানোর জন্য বার্তা নিয়ে মার্কিন মূল ক্যাম্পে পৌঁছায় এবং মার্কিন সেনাদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে। Cher Ami মার্কিন সেনাবাহিনীর ৭৭ তম ডিভিশনে কাজ করতো।প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সাহসীকাত অবদান হিসেবে তাকে Croix De Guerre পুরস্কার দেয়া হয়।
Cher Ami শব্দের বাংলা অর্থ প্রিয় বন্ধু। Cher Ami নামের কবুতরটি ১৩ ই জুন ১৯১৯ সালে মারা যায়। ২০০৮ সালে নিউ ইয়র্ক বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা Anna Dove বিশ্বযুদ্ধে Cher Ami নামের কবুতরটির বীরত্ব ও অবদানের জন্য ১৩ ই জুন কে কবুতর দিবস প্রস্তাব করেন New York Times পত্রিকায়। তার প্রস্তাবটি গৃহীত হয় এবং কবুতর দিবস রূপে পালিত হয়ে আসছে।
আসুন আমরা Cher Ami এর স্মরণে গতবারের মতো এবারও ১৩ই জুন “বিশ্ব কবুতর দিবস” পালন করবো। আসুন বাংলাদেশের সকল কবুতর প্রেমিরা একত্র হয়ে ৬৪ জেলায় এই দিবসট পালন করি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *