ডিম থেকে বেবি না পাওয়া কারনগুলো অনুসন্ধানে

ডিম থেকে বেবি না পাওয়া… কারনগুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা : abdullah wahidur rahman

ডিম ফুটে বাচ্চা না পাবার কারন দু রকম হতে পারে।

(১) ভ্রুন অবস্থায় মৃত্যূ
(২) অনুর্বর ডিম

(১) ভ্রুন মৃত্যু সাধারনত দুটি সময়ে হয়ে থাকে।

> ডিমে উম দেয়া শুরু করবার প্রথম ২/৩ দিনের ভেতর।
> ডিম ফুটে বের হবার ২/৩ দিন আগে।

কারন সমূহ:

(১) ব্যাক্টেরিয়াল অথবা ভাইরাল ইনফেকশন।
>> বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বাবা-মা দুজনে অথবা কোন একজন “ক্যারিয়ার” বা জীবানূর “বাহক” হিসেবে কাজ করে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ইকোলাই, সাল্মোনেলাসিস কিংবা মাইকোপ্লাজমোসিস রোগের জীবানূ বহনকরী বাবা-মা থেকে ডিম এবং ভ্রুন আক্রান্ত হয়। সাল্মোনেলাসিস বাহক প্যারেন্টস এর বেবী অল্প বয়সেও মারা যেতে পারে।

>> অপরিস্কার আতুর বা খোপ, হাড়ী, হাড়ীতে ব্যবহৃত কাপড় থেকেও ডিমে ইনফেকশন ছড়াতে পারে।

(২) ঝাকি লাগা: ডিমে ঝাকি লাগলে প্রাথমিক অবস্থার যে কোন ভ্রুনের মৃত্যু হয়। এডভান্সড স্টেজে বিকলাঙ্গ বেবী আসতে পারে।

(৩) পরিবেশগত সঠিক তাপমাত্রা এবং/অথবা আদ্রতার অভাব: ডিম ফুটে সুস্থ বেবী পাওয়ার জন্য সঠিক আবহাওয়া দরকার। অতিরিক্ত গরম বাা বর্ষষারর সময় এই পরিবেশ বা আবহাওয়া থাকে না।

(৪) ডিম ফোটা পূর্ব মৃৃৃত্যু ঘটে বেবী নাড়া চাড়া করে নিজেকে ঠিক যায়গায় নিতে ব্যার্থ হলে, কুুুুসুম এর থলি এবসর্ভ করতেে ব্যার্থ হলে, নিঃশ্বাস নেবার বাতাস পেতে সমস্যা হলে।

(৫) প্রানঘাতী জীন: ইন ব্রিডীং এর ফলে অনেক প্রজাতীর ভেতর লিথাল জিন বা প্রানঘাতী জিন এর
সৃষ্টি হয়। এধরনের জিন বহনকারী বাবা-মা এর ডিম এর ভেতর ভ্রুন মৃত্যু দেখা যায়।

(৬) পুষ্টি জনিত :

ভিটামিন এ, ডি, ই, থায়ামিন, বি২, নায়াসিন, বাইওটিন, প্যান্টোথেনিক এসিড, পাইরিডক্সিন, ফলিক এসিড, বি১২, ম্যাংগানিজ, জিংক, আইওডিন, আয়রন ইত্যাদির ঘাটতি জনিত কারনেও ভ্রুনের মৃত্যু ঘটতে পারে।

>> অপর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, এবং এনার্জির কারনে যেমন ডিম অনুর্বর হতে পারে তমনি অতিরিক্ত জিংক সাপ্লিমেন্টের কারনেও অনুর্বর ডিম হতে পারে। অনেক সময় ওবেসিটি বা অতিরিক্ত চর্বিও অনুর্ব্বর ডিমে অবদান রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *